নুরুল আমিন, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ প্রকল্প কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রকল্প কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। কমিটির অন্যান্য সদস্য ও প্রকল্পের সদস্য সচিব কাজের ব্যাপারে ওই সভাপতির সাথে বার বার কথা বললেও কারো কোনো মতামতের তোয়াক্কা না করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বরাদ্দকৃত সমুদয় গম বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটঁনাটি ধামা-চাপা দেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলাধীন রাজিবপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রকল্পের সদস্য সচিব মো: আজাহার আলী।
জানা গেছে কাবিখা প্রকল্পে বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাটের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন এমপি ৭ (সাত) মে: টন গম বরাদ্দ দেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবর রহমানকে সভাপতি করে ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু সভাপতি অন্য সদস্যদের কোন মতামত গ্রহণ না করেই মাত্র চল্লিশ ট্রলি (ট্রাক্টর দিয়ে তৈরী ট্রলি) মাটি দিয়ে আংশিক কাজ সম্পন্ন করেন। যাতে স্থানীয় হিসাব অনুযায়ী আনুমানিক ব্যয় ৪০,০০০/= (চল্লিশ হাজার) টাকা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এবং প্রকল্প কমিটি অন্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
এ বিষয়ে প্রকল্পেরে সভাপতি মজিবর রহমান বলেন-আংশিক কাজ করেছি, বাকী কাজ পরে করতে চেয়েছি। স্বাক্ষর জালিয়াতের ব্যপারে বলেন তাড়াহুড়া করে কাজ করতে গিয়ে স্বাক্ষরগুলো নিজেই দিয়েছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান,আমি নতুন যোগদান করেছি। কাউকে তেমন চিনিনা অপর দিকে ৩০ জুনের মধ্যে বিল পে- হরতে হবে। সে জন্য ভালো তদারকি করতে পারিনাই।তবে বিদ্যালয়ের পূর্নাঙ্গ কাজ করতে হবে সভাপতিকে। সে ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।
চর রাজবিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন ,আমি অভিযোগ পেয়েছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলে দিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।=
Leave a Reply